৪ জানুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১৩:৫৭:০০
পাতাঝরার দিন হেমন্ত প্রায় শেষেদিকে। নতুন ধান ঘরে তোলে বাংলার কৃষকের ঘরে ঘরে নানা ধরনের পিঠা-পুলির আনন্দের ধুম পড়েছে। একটু একটু কুয়াশার আবছায়ায় শীত পড়তে শুরু করেছে বাংলার বুকে। হেমন্তের ফসল শূন্য মাঠে ভোরে সূর্য ওঠার সময় ঘাসের ডগায় দেখা যায় কুয়াশার শিশির বিন্দু। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায় হাওয়ায় হাওয়ায়।
প্রতিবছর এমন দিনে আমাদের দেশের সমুদ্রের তীরবর্তী এলাকায়, হাওর-বাঁওর ও খালে-বিলে দেখা যায় কিছু পাখি ওড়াউড়ি করে আমাদের মুগ্ধ করে। আবার তারা পানিতেও ভাসতে পারে হাঁসের ন্যায়। তাদের বলা হয় পরিযায়ী পাখি। তবে এসব পাখিদের আমরা অতিথি পাখি হিসেবে চিনি।
প্রাণীবিদরা বলেন, এসব অতিথি পাখির মধ্যেও রয়েছে বেশ প্রকারভেদ। বাংলাদেশে ৭৪৪ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এর মধ্যে ৩০১টি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করে বলে এদের ‘আবাসিক’ পাখি বলা হয়। তবে খণ্ডকালীন সময়ে নিয়মিতভাবে আসে ১৭৬ প্রজাতির পাখি, যা বাংলাদেশের অতিথি পাখি হিসেবে গণ্য করা হয়।
যেমন: ডেলা ঘেনজি, সোনাজঙ্গ, খুরুলে, বনহুর, মানিকজোড়, চিনাহাঁস, পিয়াংচিনা, রাজহাঁস, গিরিয়া হাঁস, বৈকাল হাঁস, বালিহাঁস, চিতি হাঁস, ভূতি হাঁস, প্রোভায়, নাইরাল ল্যাঙ্গি, গ্রাসওয়ার, নাইবাল, হারিয়াল, ভোলাপাখি, চখাচখি, বুরলিহাঁস, বারহেড, নারুদ্দি, সিরিয়া পাতিরা, পাথরঘুরানি বাতান, হেরন, খয়রা, জলপিপি, খঞ্জনা, কমনচিল, লালশির, নীলশির, পান্তামুখী, রাজসরালি, বড় সারস পাখি, ছোট সারস পাখি, রাঙ্গামুরি, কবালি, গেন্ডাভার ও গাংকবুতরসহ আরো অনেক প্রকারের পরিযায়ী পাখি।
শীতকালে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে এদের আগমন হয় সুদূর উত্তর মেরুর দেশ রাশিয়া, সাইবেরিয়া, ফিনল্যান্ড, ফিলিপস, অ্যান্টার্কটিকা ও অস্ট্রেলিয়া থেকে। কারণ সেখানে শীতকালে তাপমাত্রা মাইনাস ডিগ্রিতে নেমে আসে এবং বরফ জমে যাওয়া ঠান্ডার প্রভাবে প্রচুর খাদ্যাভাব দেখা দেয়। আর এদের আকাশপথে উড়ে আসার দূরত্ব জানলে চোখ কপালে ওঠার মতো!
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব পরিযায়ী পাখিরা ৬০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ মিটার উঁচু আকাশসীমা পাড়ি দিয়ে উড়ে আসতে পারে। এদের মধ্যে বড় পাখিরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার অনায়াসে উড়তে পারে আর ছোট পাখিরা উড়তে পারে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার। দিনে-রাতে মোট ২৪ ঘণ্টায় তারা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিতে পারে। আবার কিছু পাখি বছরে প্রায় ২২ হাজার মাইল পথ অনায়াসে পাড়ি দিয়ে থাকে।
সাধারণত এসব পাখিদের আসা শুরু হয় হেমন্তের শেষের দিকে আর বিদায় নেয় বসন্তের শেষের দিকে। এসব পরিযায়ী পাখিরা হাওর-বাঁওর ও সমুদ্রাঞ্চলের তীরে ওড়াউড়ি করে আর এদের কিচিরমিচির নমনীয় সুর আমাদের মুগ্ধ করে। তাই এসব অতিথি পাখিদের আমাদের অতিথির মতো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এদের কোনোমতেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দ্বারা শিকার করতে দেব না। পশু-পাখি ও প্রকৃতিকে রক্ষা করে আমাদের পরিবেশকে সুন্দর রূপে সাজাব।
Rent for add
নীলশির, পান্তামুখী, রাঙ্গামুরি, বনহুরের দল
পদ্মার এক বোয়াল ২২ হাজারে বিক্রি!
পদ্মায় ধরা পড়া পড়া ১৯ কেজির বোয়াল ৪৫ হাজারে বিক্রি
হিটস্ট্রোকে মারা গেলো ১৭ চাষির মাছ, ক্ষতি আড়াই কোটি টাকা
বিষখালী নদীতে জালে ওঠা ২৬ কেজির কোরাল বিক্রি হলো মাইকিং করে
কুশিয়ারা নদীর ৯৩ কেজির বাগাইড় ৮৬ হাজার টাকায় বিক্রি